ডিমের ডেভিল আর টেনিদা
পটলডাঙ্গার রকে বসে আমাদের টেনি দা যে অসাধারণ "শিল্পকীর্তি" গুলো রেখে গেছে, সেগুলো যতবারই ফিরে দেখি, তৎক্ষণাৎ টেনিদারই সেই বিখ্যাত ডায়লগ "ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক" ছাড়া আর কিছু দিয়েই সেগুলোর বর্ণনা করা যায় না!
টেনিদার অনবদ্য চরিত্রের নমুনা দেখাতে প্যালারামের এই বর্ণনা টা বোধহয় যথেষ্টই যথাযথ -
"বনভোজনের রফা করতে করতে শেষ পর্যন্ত লিস্টিটা যা দাঁড়াল তা হচ্ছে এই-
খিচুড়ি ( প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনবে বলিয়াছে)
আলু ভাজা ( ক্যাবলা ভাজিবে)
পোনা মাছের কালিয়া ( প্যালা রাঁধিবে)
আমের আঁচার ( হাবুল দিদিমার ঘর হতে হাত সাফাই করবে)
রসগোল্লা, লেডিকিনি ( ধারে ম্যানেজ করিতে হইবে)
লিস্টি শুনে আমি হাঁড়িমুখ করে বললাম, ওর সাথে আরেকটা আইটেম জুড়ে দে – টেনিদা খাবে !"
|
আরে এনার কথা নারায়ণ গাঙ্গুলির লেখায় কত পড়েছি! তিনিই কিনা এক্কেবারে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে কচুরী-জিলেপী খাচ্ছেন....
সম্বিত ফিরল আমার বান্ধবীর খোঁচায়, "কি দেখছিস অমন হাঁ করে, কচুরী-জিলিপি খেতে ইচ্ছে করছে নাকি? আমার কিন্তু এখন খেতে ইচ্ছে করছে না, আমি খাব না"
আমিও হুঁশ ফিরে পেয়ে লজ্জা পেয়ে ভাবলাম, ধ্যাত! টেনিদা দোকানে দাঁড়িয়ে একা একা কচুরী-জিলেপী খাওয়ার লোকই নয়! পটলডাঙ্গার রকে বসে ঢাকাই হাবুলের মাথায় রামগাঁট্টা লাগিয়ে কচুরী-জিলেপী আনিয়ে না খেলে সেটা কি টেনিদা হতে পারে?
ভূনাখিচুড়ি
শাপলা ভাজা
মাছের মুড়োর কালিয়া
আমের মিষ্টি আচার
বাঙালি রসগোল্লা
No comments:
Post a Comment