Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts

Friday, April 29, 2016

How to take care of oily skin in Summer

কীভাবে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেবেন? 

এক চা চামচ বেসন, অল্প হলুদ গুঁড়ো, টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে হবে এবং আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর হয়ে যাবে।


গরমে তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ধূলোবালি আটকে যায় এবং অতিরিক্ত তেল মুখের চামড়ার ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দেয়। এতে করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে ব্রণ হওয়ার প্রকোপ বাড়ে। তাই বিড়ম্বনার মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ত্বক পরিষ্কার না রাখায় ব্রণ দেখা দিতে পারে তবে অনেকের ত্বক জন্মগতভাবেই তৈলাক্ত হয়ে থাকে একটুতেই ত্বক তেলতেলে হয়ে যায়। কখনো কখনো দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব।

তৈলাক্ত ত্বকে লোমকূপ বড় হয়ে যায়। তেল জমে সেসব বন্ধ হয়ে ব্রণও ওঠে। তাই গরমে প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে তৈলাক্ত ত্বক রক্ষা করতে হলে প্রতিদিন ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। 


বাড়িতেই কীভাবে ত্বকের যত্ন নিতে নেবেন?
শশার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।

এ ছাড়া স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিলেই হবে। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই মিশ্রণে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।

গোলাপ জল, লেবুর রস সমান পরিমাণে নিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে আধ ঘণ্টা মুখে লাগিয়ে রাখুন। আলতোভাবে তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন ধীরে ধীরে। এতে ব্রণ এবং ফুসকুড়ির দাগ উধাও হয়ে যাবে।

Friday, April 22, 2016

জিরার উপকারিতা

জিরার উপকারিতা



এ এক এমন 'মশলা' যার ততটাই কারিকুরী, ততটাই 'জিরা'জারী! 
হ্যাঁ, 'জিরা'জারী মানে, জিরার কথাই বলছিলাম। যে জিরা আপনি রানাবান্নায় হয়ত ব্যবহার করেন, কিন্তু
স্রেফ রান্নার জন্য ব্যবহার করার মধ্যেই জিরা র সবগুণ শেষ নয়! 

আপনি হয়ত, জিরার ঔষধি গুণের কথা মনেই আনেন নি! 
জিরা শুধু, মশলাই নয়, বহু ঔষধি গুণ সম্পন্ন! 
আসুন দেখে নিই, জিরা আপনার সাধারণ রোগ-ব্যারামে কত অনন্য কাজ দেয়!

১.আপনার ত্বক কে সুন্দর রাখতে জিরার বিকল্প কেবল জিরাই! ভিনিগার এর সাথে জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে মাখলে ব্রণ জাতীয় ত্বকের 
সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 
২. জিরাতে প্রচুর ভিটামিন ঈ থাকার জন্য আপনার ত্বক থাকে উজ্জ্বল আর স্বাস্থ্যবান ! 

৩. জিরাতে অ্যান্টিওক্সিডেন্ট আর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়া উপাদান থাকার জন্য আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৪. দু'লিটার জলে ১ চা চামচ জিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে, সেই জল, স্নানের জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নান করলে চামড়ার চুলকানি 
বা শরীরের তাপমান জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন

৫. হাতের পায়ের তালুর জ্বালা করার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ৪ লিটার জলে ১ চা চামচ জিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার ঠাণ্ডা করে 
ঢাকা দিয়ে রাখুন। তৃষ্ণা পেলে বা খাওয়ার পরে সেই জল পান করুন। দারুণ উপকার পাবেন।

৬. ৩ ভাগ গুঁড়ো হলুদের সঙ্গে ১ভাগ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করে নিন। পীল-অফ মাস্ক বানাতে চাইলে জলের বদলে মধু 
মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করে মুখে লাগান। আধঘণ্টা পরে ধুয়ে নিলেই দেখবেন আপনার মুখের ঔজ্জ্বল্য! 

৭. চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, উঠে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় কালো জিরা। 

৮. কালো জিরার তেল অ্যারোমাথেরাপি এবং খুসকি র সমস্যায় ভীষণ উপকারী।

Monday, April 18, 2016

আপনার সৌন্দর্যের সহায়ক ভিটামিন



সৌন্দর্য ধরে রাখতে ও বাড়াতে কী কী খাবেন?




সৌন্দর্য ধরে রাখা বা বাড়িয়ে তোলার জন্য যে ভিটামিন সাহায্য করে তাকে বলে বিউটি ভিটামিন। স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য ও সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে এসব ভিটামিনের ওপর। কোনগুলো বিউটি ভিটামিন এবং সেগুলো পাওয়ার জন্য কী খেতে হবে জানাচ্ছেন ঝুমু পলি




ভিটামিন 'সি'
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ভিটামিন 'সি'র প্রধান কাজ হলেও বিউটি ভিটামিন হিসেবে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। টকজাতীয় ফল ত্বকের জন্য ভালো। ভিটামিন 'সি' ত্বকের কোষগুলোকে যেকোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, কোলাজেন উৎপাদনও বাড়িয়ে তোলে। ব্রণ বা মেছতামুক্ত মসৃণ ত্বকের জন্য প্রতিদিন ভিটামিন 'সি'যুক্ত ফল খাওয়া ভালো। ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, কাঁচা মরিচ, পেয়ারা ব্রকলি ইত্যাদিতে ভিটামিন 'সি' পাবেন।

ওমেগা থ্রি
'ফ্যাট' শব্দটি শুনতে খারাপ লাগলেও ওমেগা থ্রিকে বলা হয় গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বি। ত্বকের রং উজ্জ্বল ও কোমল করার জন্য উপযোগী। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা, ত্বকের অভ্যন্তরীণ দূষণ বা ময়লা কাটাতে সাহায্য করে। মূলত কডজাতীয় মাছ যেমন- স্যামন, ম্যাকরেল, সার্ডিন আখরোট ইত্যাদিতে ভিটামিন 'এ' পাওয়া যায়। এ ধরনের চর্বিযুক্ত মাছ খেতে ইচ্ছে না করলে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে খেতে পারেন ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল অথবা এ ভিটামিনযুক্ত ফলমুল ও শাকসবজি।



ভিটামিন 'ই'
ভিটামিন 'ই' কোষ সুরক্ষার কাজ করে। ত্বকের ভেতরে-বাইরে জীবাণু আসা-যাওয়ার মাঝখানে দেয়ালের মতো সুরক্ষা দেয়। ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোধ করে। ত্বক সজীব ও সতেজ রাখে। ভিটামিন 'ই' অ্যান্টি এজিং ক্রিম হিসেবেও পরিচিত। চুলের জন্যও ভালো। লাল আটার রুটি, ভুট্টা, সূর্যমুখীর তেল, বাদাম, টমেটো, অ্যাসপারাগাস এবং দানাজাতীয় শস্যেও পাওয়া যায় ভিটামিন 'ই'। তবে ভিটামিন 'ই'-জাতীয় খাবার কাঁচা খেতে হয়। কারণ আগুনের আঁচে খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়।



ভিটামিন 'এ'
ত্বকের জন্য ভিটামিন 'এ' খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন 'এ'তে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের পুরনো কোষ ঝরে গিয়ে নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। শরীর বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন 'এ' প্রয়োজন। বিশেষ করে যাঁরা ক্রমাগত স্নায়ু চাপের মধ্যে কাজ করেন তাঁদের জন্য ভিটামিন 'এ' জরুরি। রঙিন ফল ও শাকসবজি যেমন- কমলা, গাজর, কুমড়া, পালংশাক ও লালশাকে ভিটামিন 'এ' রয়েছে।







ভিটামিন 'বি'
অনেকেই সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নিয়মিত ভিটামিন 'বি' বা বি কমপ্লেক্স ক্যাপসুল খান। এটি কার্বোহাইড্রেট হজম করতে সাহায্য করে, স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। সৌন্দর্যের সঙ্গে হজমের সরাসরি সম্পর্ক আছে। হজম ক্ষমতা বাড়াতে 'বি' ভিটামিন সাহায্য করে। তা ছাড়া চুল ঝরা কিংবা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। অবসাদজনিত সমস্যা কাটায়। তাজা ফল, সবজি, শস্যদানা, মাছ, ডিম ও পনিরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'বি' পাবেন।


আরও দেখুন -