Tuesday, August 30, 2016

BANGLADESHI ATANARU - বাংলাদেশী আতানাড়ূ

বাংলাদেশী আতানাড়ূ

নদীমাতৃক বাংলায় যেমন মাছ খাওয়ার একটা ঐতিহাসিক পরম্পরা আছে, তেমনই কৃষিজীবি বাঙালির, শস্যজ ফসল থেকে অসাধারণ কিছু খাদ্যবস্তু তৈরি করার দক্ষতাও প্রশ্নাতীত!
ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তোলার মত একটা দৈনন্দিন ঘটনা নিয়ে উৎসব করার মত সৃজনশীলতা বোধহয় বাঙালির পক্ষেই সম্ভব!
সেখানেই শেষ নয়! নববর্ষ, দোল, রথযাত্রা, দূর্গাপূজা'র মত উৎসব থেকে বিয়ে, অন্নপ্রাশন, সাধ, ভাইফোঁটা, উপবীতধারণ  প্রতিটি অনুষ্ঠানেই বাঙালির স্বকীয়তা, সৃষ্টিশীলতা এবং ঐতিহ্যের নমুনা পাওয়া যায়।

পোশাক, গৃহসজ্জা থেকে চর্ব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় পদ সাজিয়ে পরিবেশনের মধ্যে পাওয়া যায় চনমনে, প্রাণোচ্ছল জাতির আত্মপরিচয়!
ডালের বেসন থেকে রসালো জিলিপি হয়ে ওঠার মধ্যে স্বাদের জাদু আর সৃষ্টির কুশলীপনা থাকলেও আত্মগরিমার সদম্ভ দেখানেপনা বাঙালি স্বভাবে নেই!

কলাপাতা বা পদ্মপাতায় মুড়ে অতি সুস্বাদু পাতুরী বানানো জলভাত হলেও সেটা বিশ্বের অধিকাংশ ভোজনরসিকদের কাছে অজানা কারণ সেই মুন্সিয়ানা সবার সামনে পেশ করবার স্বভাবসুলভ ব্রীড়া!
বাঙালির অনেক পিঠাপুলি, নাড়ুমোয়া ই পৃথিবীর খাদ্যপ্রেমীদের পছন্দ হবে, যদি সেটা তাঁদের কাছে ঠিক ভাবে তুলে ধরা যায়!

যেমন, এই আতানাড়ূ! এত অত্যুৎকৃষ্ট একটা পদ সেভাবে মানুষ জানলই না! ক্ষীরের পাক করে সেটা নারকেলের নাড়ূর মধ্যে কীভাবে পাক করলে সেটা "আতানাড়ূ" হয়ে উঠবে - এটা না জানালে, যাঁরা সুখাদ্য পেতে চান, তাঁদের প্রতি অন্যায় করা হয়!
কতবার আমাদের মা-কাকিমাদের বলেছি, "তোমরা কেন এই দুর্দান্ত নাড়ূ টা কীভাবে তৈরী কর সেটা সবাইকে শেয়ার করছ না?"
ওরা বলেন, "মানুষের কি আর অত সময় আছে, ধৈর্য ধরে বসে শোনবার বা বানাবার! তার থেকে তোর বন্ধুদের জন্য নাড়ূ নিয়ে যা, খাইয়ে আয়!"
এই হচ্ছে বাঙালি! স্বভাবে ঔদার্যের সীমা নেই, আবার নিজেদের গুণপনা নিজমুখে জানাতে অপরিসীম লজ্জাবোধ!
এবার নিজে চোখেই দেখে নিন কীভাবে আমাদের এই ঐতিহ্যশালী "আতানাড়ূ" তৈরি করা হয়! 

আরও দেখুন - 
স্পঞ্জ রসগোল্লা কীভাবে বানাবেন
তালের বড়া বানাতে কী লাগে 
বাঙালির লাউ চিংড়ী
তালের ভাপা পিঠা 

No comments:

Post a Comment